সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ০১:০৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : ২০১৮ সালে গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজের স্ত্রী নিগার সুলতানা ঝুমা ছিলেন গৃহিণী, তবে এখন তিনি ব্যবসায়ী। তাঁর কাছে নগদ কোনো টাকা ছিল না। ব্যাংকে ছিল ৫ লাখ ২৬ হাজার এবং ৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও ১০০ ভরি স্বর্ণ ছিল।
৫ বছরের ব্যবধানে তাঁর সম্পদ বেড়েছে বহু গুণ। ব্যবসা খাতে এ বছর তার আয় ১১ লাখ ৫০ হাজার এবং ব্যাংক সুদ পেয়েছেন ৪৫ হাজার। হাতে নগদ টাকা আছে ৫০ লাখ ২০ হাজার, ব্যাংকে জমা ১০ লাখ ৮১ হাজার, স্বর্ণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০০ ভরি।
এদিকে ২০১৮ সালে ইকবাল হোসেনের বার্ষিক আয় ছিল পাঁচ লাখ ৮ হাজার টাকা।
তার মধ্যে কৃষি খাতে এক লাখ ৫২ হাজার ও ব্যবসা থেকে ২ লাখ ৭৯ হাজার এবং গৃহস্থারী থেকে আয় ছিল ৭৬ হাজার টাকা। পাঁচ বছরের ব্যবধানে তাই বেড়ে হয়েছে ৮ গুণ।
২০২৩ সালে তাঁর আয় দাঁড়িয়েছে ৪০ লাখ ১৩ হাজার। আয়ের খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে কৃষি খাতে ১১ লাখ ৫০ হাজার, ব্যাংক সুদ, শেয়ার সঞ্চয় থেকে ১ লাখ ১৮ হাজার এবং সংসদ সদস্যের ভাতা ২৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
তার অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ৩.৪ গুণ।
এমপি সবুজের দ্বাদশ নির্বাচনী হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পাননি। তাঁর স্থলে মনোনয়ন পেয়েছেন সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি রুমানা আলী।
হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০১৮ সালে ইকবাল হোসেনের নগদ টাকা ছিল ২০ লাখ ৫০ হাজার এবং ব্যাংকে জমা ছিল ২২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা।
৫ বছরের ব্যবধানে তার স্থায়ী সম্পদ না বাড়লেও অস্থায়ী সম্পদ বেড়েছে ৩.৪ গুণ। খামারে তার বিনিয়োগ আছে ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। তার ৫০ লাখ টাকা ঋণ আছে ।
২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, এমপি ইকবাল হোসেনের অস্থায়ী সম্পদের মধ্যে রয়েছে নগদ ৫ লাখ, ব্যাংকে জমা ৪৭ লাখ ৬১ হাজার এবং ৮৩ লাখ ৭১ হাজার টাকার শুল্কমুক্ত কোটার একটি গাড়ি।